৯ কোটি টাকা নিয়ে উধাও ব্যবসায়ী

৯ কোটি টাকা নিয়ে উধাও ব্যবসায়ী
একটি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ জমা পড়েছে গুম কমিশনে, যেখানে একটি ব্যবসায়ীকে ৯ কোটি টাকা, গাড়ি এবং জমি লিখে নেওয়ার পর ফের গুম করা হয়েছে। ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি মিরপুরের পল্লবী থানা এলাকা থেকে ব্যবসায়ী মো. কুদ্দুসুর রহমান চৌধুরী অপহৃত হন। তার মেয়ে ফারজানা আক্তার টুম্পা অভিযোগ করেছেন, ২০১৩ সালে র্যাব-৪-এর কর্মকর্তারা কুদ্দুসুর রহমানকে তুলে নিয়ে গিয়ে ইলেকট্রিক শক দিয়ে ৪টি গাড়ি, ৯ কোটি ৬০ লাখ টাকার চেক এবং জমির দলিলে সই নেন। এরপর সংবাদ সম্মেলন ও হাইকোর্টে রিট পিটিশন করার পর ২০১৪ সালে আবার তাকে অপহরণ করা হয় এবং ১০ বছরেও তার কোন হদিস পাওয়া যায়নি। কুদ্দুসুর রহমানের পরিবার দাবি করেছে যে, তার গুমের পিছনে জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধের কারণ রয়েছে, যেখানে অভিযুক্ত রিয়েল এস্টেট কোম্পানির মালিক একটি প্রভাবশালী সাবেক সেনা কর্মকর্তা। তারা অভিযোগ করেছে যে, রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে সঠিক তদন্ত করা হয়নি। গুম কমিশন সূত্র জানিয়েছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীদের বর্ণনায় ঘটনার মিল পাওয়া যায়, তবে চাক্ষুষ প্রমাণ ও নিরপেক্ষ সাক্ষী সংগ্রহ করা কঠিন। কমিশন বলছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা এমনভাবে কাজ করেছেন, যাতে এগুলো পরে শনাক্ত করা না যায়। গুম সংক্রান্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে, কমিশন সম্প্রতি ৭৫৮ জনের অভিযোগ যাচাই করে একটি প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দিয়েছে। এই কমিশন র্যাবের বিরুদ্ধে বেশিরভাগ অভিযোগ পেয়েছে এবং র্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে। ২০১৪ থেকে ২০২4 সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত গুমের ঘটনা তদন্ত করার জন্য গঠিত গুম সংক্রান্ত কমিশন বিভিন্ন দফায় অভিযোগ জমা নেওয়ার সময় বাড়িয়েছে, এবং এখনো নতুন অভিযোগ জমা পড়ছে।